EKKMUS

এসো কাজ করি মহিলা উন্নয়ন সমিতি ২০০৫ সালে ২২জন নারী সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়। ধীরে ধীরে সদস্য সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ৪০ জন সদস্য রয়েছে। সমিতিটির  লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্র ও অতি দরিদ্র নারীদের জীবন মান উন্নয়ন করা। নারীদের   অধিকার বিষয়ে সচেতন করা। বাল্যবিবাহ রোধ করন ও নারী নির্যাতন বন্ধ করতে সমাজকে সচেতন করা। বিভিন্ন আয়মুলক  কাজের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে নারী উদ্যেক্তা তৈরি করা। স্থানীয় সরকারের সেবামূলক কার্যক্রম সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে কাজ করা। কৃষি বিষয়ে নারীদেরকে দক্ষ করে তুলা। কিশোরীদেরকে বয়োঃসন্ধিকালে যত্ন ও সচেতনতামুলক  আলোচনা ও উঠান বৈঠক করা।  নির্যাতিত নারীদেরকে আইনী সহায়তা পেতে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ স্থাপন করা। দুর্যোগ মোকাবিলা করতে আগাম প্রস্তুতির পরামর্শ দেয়া।  বিভিন্ন দিবস পালন। যেমন-রোকেয়া দিবস,৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন। পরিবেশ দিবস পালন করা এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিশুদের মধ্যে বিনামুল্যে গাছের চারা বিতরণ। ১৭-৩-২০১২ইং সালে   সমিতি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পাই। নিবন্ধন পাওয়ার পর কার্যক্রমের ফলে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে এবং ধীরে ধীরে সমিতির উন্নয়ন করতে থাকে। বেসরকারি সংস্থার কাজ করার সুযোগ পাই। ইতিমধ্যে  সরকারের বিভিন্ন দপ্তরগুলোতে সু-সম্পর্ক তৈরি করে নিয়েছে।

এসো কাজ করি মহিলা উন্নয়ন সমিতিটি

কৃষি বিষয়ের উপর কাজ করে যাচ্ছে।   প্রথম থেকে যেহেতু সুনামগঞ্জের মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল,কৃষিই আমাদের প্রধান আয়ের উৎস, তাই এসো কাজ করি মহিলা উন্নয়ন সমিতির সকল সদস্য কোন না কোনভাবে কৃষি কাজের সাথে জড়িত।

কৃষি কাজের মধ্যে আছে ধানসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ। হাস মুরগী পালন,গরু মোটাতাজা, দুগ্ধ উৎপাদনে গাভী পালন, পুকুরে মাছ চাষ   এবং ছোট চারা উৎপাদনে নার্সারি করা।

এই সকল কাজ করার জন্য সমিতিটি যে ধরনের সহায়তা করছে, তা হল জেলা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ  অধিদপ্তরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন ভাল বীজের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি সাথে যোগাযোগ করা। মাটি উর্বরতা ধরে রাখার জন্য রাসায়নিক সার ধীরে ধীরে কমিয়ে নেওয়া এবং জৈব সার ব্যবহার বাড়ানো। ঠিক কীটনাশকের বেলায়ও রাসায়নিক কীটনাশক কমিয়ে এনে জৈব কীটনাশক  ব্যবহার বাড়ানো। সদস্যদের কে উঠান বৈঠকের আলোচনায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে জৈব সার বানানোর পদ্ধতি শিখানো।

গ্যালারি

Scroll to Top